ভনে_ একটি গ্রন্থচিন্তার কাগজ
সরসিজ আলীমের ৫টি বই
বই কিনুন। বন্ধুদের বলুন। ভালো থাকুন।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১০
ভনে ২য় সংখ্যা। নভেম্বর ২০১০।
ভনে ২য় সংখ্যা। নভেম্বর ২০১০।
নবীনতর পোস্টসমূহ
পুরাতন পোস্টসমূহ
হোম
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সরসিজ আলীমের ব্লগ
সাম হয়্যার ইন
প্রথম আলো ব্লগ
An eye for an eye, and the whol world would be blind
কাহলিল জিবরান
ভালো থেকো হে সুন্দর
spa supplies
ব্লগ সংরক্ষাণাগার
▼
2010
(4)
▼
নভেম্বর
(2)
ভনে ২য় সংখ্যা। নভেম্বর ২০১০।
ভনে ২য় সংখ্যা। নভেম্বর ২০১০।
►
জুলাই
(2)
►
2009
(1)
►
নভেম্বর
(1)
সরসিজ আলীমের অন্যের প্রেমিকা সিরিজ কবিতা
অন্যের প্রেমিকা- ০১
বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমিকা ধার করবো কিনা
ভাববার চেয়ে প্রেমিকা ধারে পাওয়া যাবে কিনা
সেটা নিয়েই খুব বেশি ভাবতে হচ্ছিলো,
ধার শোধ করার দিব্যি দিতে হলেও
দিব্যি রক্ষা করার দিব্যি দিতে পারবো না;
তবে হঠাত্-ই একজন প্রেমিকাকে ধারে পেয়ে গেছি।
তার বুকের ওড়নাটা সরে যাবার জন্য
ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে থাকি
চুলের ভেতর বাতাস ওড়াতে ওড়াতে।
তার চোখের ভেতর চিলের সুপ্রশস্ত ডানা
দেখতে পায়, উড়াল ডানায় চ’ড়ে সাগর পার
হয়ে যেতে থাকবো,
তার চোখের পানে চেয়ে থাকে আকাশও !
মেয়েটির হাসিমুখ বিকেলটার হাত ধ’রে হাঁটে,
আর মাও জে দং-এর ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখে
বাগ-বাগ হয় সরসিজ আলীমের কবিতা।
মলিন টি-শার্টের তলে যখন পঁচা ড্রেনের জল
গড়াতে থাকে, তখন ম্লান হতে থাকে হাসিখুশি মুখ,
রাস্তায় উপচে পড়া বেলের শরবতের গ্লাসে
হাত বাড়াতে যাই যখন, মেয়েটি ঠোঁট উল্টে দিয়ে
উল্টোমুখ করে থাকে।
আমাদের পরষ্পরের হাতের দূরত্ব বাড়তে থাকে,
কাচের দুয়ার ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই রবীন্দ্র সংগীতের
হু হু শীতল হাওয়া,
সেই হাওয়াতে টি-শার্টের তলের জল আটকাবার
চেষ্টা করি। এই ফাঁকে দুধের ফেনা আর বরফে
চুমুক দেয় মেয়েটি, তবু আমাদের আসনের
দূরত্ব ঘোচে না।
রিকশাঅলার সাথে যখন দরাদাম করে মেয়েটি
পথচারীটা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে,
হাওয়ায় হাত নাড়িয়ে একা একাই ছেড়ে
যায় রিকশাটি আর একটি দূরত্বের হাত।
এই মেয়ে, তোমাকে নিয়ে সারারাত
সারা আকাশ জুড়ে অনেক স্বপ্ল ঝুলিয়ে দিয়েছি।
তোমার প্রেমিকের বুকে মাথা রাখবার আগে
শুধু আর একবারটি আকাশের পানে চাহিও !
০৭.০৫.২০১০, ঢাকা।
অন্যের প্রেমিকা- ০২
আর তখন আমাদের হাতের দূরত্ব অল্প
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে গল্প
মনের মহলে আমরা জানি কাছাকাছি
নিরন্তর চলছে এখানে এন্তার কানামাছি
তাহার চুলের খোঁপায় জবা-জুঁই ফুল
হাওয়ায় সুবাস না বাসে ওড়ে চুল
ঘাস ছিঁড়ি হাঁটি-বসি ঘাসের উপর
মাথার উপর হায় গড়ায় চৌপর
মাথার উপর হায় গড়ায় চৌপর
চোখের পাতায় পক্ষি ওড়ে রাতভর
আমাকে রেখে তবে তাহার গাড়ি ছোটে
ঘাম তবু লেগে থাকে আমাদেরই ঠোঁটে
আর তখন আমাদের হাতের দূরত্ব বেশ
প্রেমিকের চোখেমুখে তাহারই আউলা কেশ
০৯.০৫.২০১০, ঢাকা।
অন্যের প্রেমিকা- ০৩
উত্সর্গ: জীনাত কাজী মিতু-কে
সাগরের ডানা যখন তোমার নিঃশ্বাসে বয়ে যেতে
থাকে ছুটে যেতে থাকে,
তুমি যখন খুব নিবিড় হয়ে আসো,
চুম্বন রাখতে চাও মরদটার বুকে,
রোমশ বুনো জঙ্গলটার বুক খামচে ধরতে
যাওয়া মাত্রই
তেলাপোকার আক্রমন ভেবে আতঙ্কিত হয়;
তোমাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে
ছিটকে পালায়,
বিস্ময়ের মাঝে আতঙ্কিত মরদের কাটা লেজটা
লাফাতে থাকে, _ লেজটার বিনিময়ে প্রাণটা
রক্ষা পেলো হায় টিকটিকিটির!
টিকটিকির কাটা লেজ দেখে তুমি আতঙ্কিত
হতে পারো, তোমার মানুষটাকে পালিয়ে
যাওয়া দেখে অপমানিত হতে পারো!
এসবই ঘটনার আকস্মিকতায় থমকে যাওয়া।
অন্যের প্রেমিকা গো, তোমার সারাঘর জুড়ে
গড়িয়ে যাচ্ছে ভীতুর ডিম্ব,
তুমি যত্রতত্র পা রাখা মাত্রই পদতলে পিষ্ট হয়ে
তার লালাগুলো গড়িয়ে পড়ছে ছড়িয়ে পড়ছে।
তোমার সারাদেহের লালাগুলো ধুয়ে ফেলে
খুব দ্রুতই নেমেএলে বের হয়ে এলে,
তোমার জন্য তোমার হাত ধরবার জন্য
আরো একজন পরাজিত পুরুষ এগিয়ে এলো,
যে কখনই উন্মুক্ত আকাশকে ভালোবাসেনি।
২৭.০৫.২০১০, ঢাকা।
অন্যের প্রেমিকা- ০৪
উত্সর্গ: মাহী ফ্লোরা-কে
মনখারাপ ছুটতে ছুটতে নদির কাছে যেতো,
কিনার ছুঁয়ে পাও রাখলেই গড়িয়ে দিতো
ঢেউ পায়ের উপর দিয়ে, চোখে মুখে তার
ছড়িয়ে দিতো জল। চুলের ভেতর আর
বুকের ভেতর বইয়ে দিতো বাওলা বাও।
চোখের পাতায় রোচে দিতো নিমবিন্দুটি।
একদিন নদিটি ঠিক চলে গেলো রাজমহলে,
মহলটার চারপাশ ঘেরা তবে উচ্চ দেয়ালে।
দেয়ালের ভেতর হরেক উৎসব রঙ ছড়ায়,
রঙ ছড়িয়ে পড়ে গড়িয়ে পড়ে দেয়ালটাতে।
নদিটির মন খারাপ হলে সাগর উঠে আসে,
আর তরঙ্গ মেলে ধরে নদিটির বুকের উপর,
তরঙ্গ গড়িয়ে চলে ঘরময় নদি গড়িয়ে যায়।
মনখারাপের এক বিছানায় ঘুমাতো যে নারী,
সেও একদিন নদি হয়ে গেলো ঘুমের ভেতর।
সিংহ দুয়ার দিয়ে ঢুকে গেলো রাজার মহলে।
মনখারাপের প্রিয় বৃক্ষটির শেকড় দিয়ে ঝরতে
থাকে রক্ত, গড়িয়ে যায় মাটির ক্ষতের ভেতর।
১০.০৬.২০১০, ঢাকা।
অন্যের প্রেমিকা- ০৫
বৃক্ষ হতে অবিরাম ঝরছে ফুল,
আমরা ফুলের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েছি।
আমাদের পিঠের তলা দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে ঘাস,
চোখের পাতা দিয়ে উড়ে যাচ্ছে পাখি,
নাকের উপর শ্বাস ফেলছে আকাশ।
সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশ মোতাবেক
আমাদের ঠ্যাং ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে
ফেলা হলো কসাইখানায়,
আমাদের প্রেম ও যৌন কর্মে ব্যবহৃত অঙ্গগুলো
কেটে-ছেটে মাংসের তাল করে পাঠানো হলো
প্রসিদ্ধ সব কাবাব ঘরে।
শেয়ালেরা ঢেকুর তুলে বড় তৃপ্তি করে খেলো,
তোমার প্রেমিক পুরুষটি শেয়ালদের ভীড়ে
শেয়ালদের পায়ের কাছে বসে
তোমারই পোড়া মাংস খুবলে খায়।
আমাদের প্রেম শেয়ালের পেটে প’ড়ে
হজম হয়ে গেলো হজম হয়ে যাচ্ছে।
১২.০৬.২০১০, ঢাকা।
অন্যের প্রেমিকা- ০৬
অপর সূর্যের চোখে চোখ রেখে
দাঁড়িয়ে রবো ইষ্টিশানের পার,
তবে মাথার উপর এক সূর্য রাখা.
আরেক সূর্য গড়িয়ে যাবে পিঠের উপর।
পায়ের তলায় পিষ্ট হবে নদি,
পা পিছলে পথ গড়াতে গড়াতে যাবে।
উড়িয়ে দিয়েছো লাল-নীল ঘুড়ি
এক সূর্যের চোখের ভেতর,
চলে গিয়েছো বৃষ্টির দেশে
আরেক সূর্যের পিঠে চ’ড়ে,
রাখছো তোমার বৃষ্টি ভেজা শাড়ি
অপর সূর্যের মাথার উপর তবে।
১০.০৭.২০১০, ঢাকা।
কাব্যগ্রন্থ
একঝাঁক পাখি ডাকাডাকি
বাঙালি আর বাউল পরান থৈথৈ জল
কাব্যগ্রন্থ
পাতাটি যতই মেজাজ দেখাক